হাওজা নিউজ এজেন্সি: শনিবার তেহরানে শহীদ ও বীরযোদ্ধা বিষয়ক ফাউন্ডেশনের প্রধান ও উপপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বলেন, “সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর বর্বরতার বিরুদ্ধে জাতি যে সংহতি ও ঐক্য প্রদর্শন করেছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি বলেন, “শত্রুরা জনগণকে বিক্ষোভে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু ইরানি জনগণ দেশপ্রেম ও ঐক্যের মাধ্যমে তাদের হতাশ করেছে। এখন জনগণের দাবি-দাওয়া ও প্রয়োজন পূরণে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”
পেজেশকিয়ান আরও বলেন, “জনগণ কেবল সহিষ্ণুতা দেখিয়েই থেমে থাকেনি, বরং দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও গুপ্তচর নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করতে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছে। তাই এখন আমাদের পালা—জাতি, ধর্ম, গোত্র, লিঙ্গ বা বিশ্বাস নির্বিশেষে সবার প্রতি ন্যায়ের ভিত্তিতে আন্তরিক সেবা দেওয়া আমাদের কর্তব্য।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “শত্রুরা জনগণ ও সরকারের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, আর এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে হলে একমাত্র পথ হলো নিঃস্বার্থ, স্বচ্ছ ও আন্তরিক জনসেবা।”
প্রেসিডেন্ট সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে আহ্বান জানান, বিশেষ করে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি অগ্রাধিকার দিয়ে, জনসেবা প্রদানের জন্য সুসংগঠিত ও কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের।
তিনি সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, “ঐক্য ও সংহতি কেবল ইরানের জন্যই নয়, বরং গোটা ইসলামী বিশ্বের জন্য আজ সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন।”
আফগান অভিবাসীদের প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রেসিডেন্ট
আফগান অভিবাসীদের বর্তমান পরিস্থিতি ও অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেন, “এত বৃহৎ পরিসরে কোনো উদ্যোগই চ্যালেঞ্জ ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা উচিত, যেন এই প্রক্রিয়া মর্যাদা, শান্তি ও মানবিকতা বজায় রেখে সম্পন্ন হয়।”
আপনার কমেন্ট